Sunday, October 20, 2024

HYPOTHYROIDISM

 

হাইপোথাইরয়েডিজম বা থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিজনিত রোগ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। ওজন বেড়ে যাওয়া, দুর্বল লাগা, ক্লান্তিবোধ, সহজেই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, ডিপ্রেশন ফিল হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম‌ হওয়া, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়া এবং মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ড সহ সেক্সুয়াল ডেজায়ার কমে যাওয়া, ড্রাইনেস ফিল হওয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলো দেখা যায়।

 

থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থেকে টি-3 ও টি-4 হরমোন নিঃসরণ হয় যা খাবারকে এনার্জি বা শক্তিতে রুপান্তর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে হরমোন নিঃসরণ কম হয় বলে খাবার ‌থেকে শক্তি উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটে। যার ফলে শরীর দুর্বল দুর্বল লাগে‌ এবং শরীরের ওজন বাড়তে থাকে।

 

প্রচলিত চিকিৎসা বিজ্ঞানে হাইপোথাইরয়েডিজম এর জন্য হরমোন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার শরীরে‌ যেই হরমোনের ঘাটতি হয়েছে সেটা বাইরে থেকে সাপ্লাই দেওয়ার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। যার ফলে লাইফটাইম থাইরয়েডের ওষুধ কন্টিনিউ করতে হয়।

 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় হরমোন সাপ্লিমেন্টের মতো কোনো ওষুধ নেই। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে থাইরয়েডের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। অর্থাৎ থাইরয়েড গ্ল্যান্ড যেন স্বাভাবিকভাবে সঠিক মাত্রায় হরমোন নিঃসরণ করতে পারে সেটাই হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য।

 

আমরা আমাদের চিকিৎসা জীবনের অভিজ্ঞতায় এমন অনেক রোগী পেয়েছি যাদের নিয়মিত থাইরয়েডের ওষুধ নিতে হতো।‌ আলহামদুলিল্লাহ, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে তাদেরকে এখন আর হরমোন সাপ্লিমেন্ট নিতে হয় না এবং তারা সুস্থ জীবন যাপন করছে।

 

থাইরয়েডের সমস্যা ভালো হতে কতদিন সময় লাগবে সেটা একদম একজ্যাক্ট বলা কঠিন। থাইরয়েডের লেভেল, ওভারঅল ফিটনেস, লাইফস্টাইল, বয়স ইত্যাদি ভেদে কারো ক্ষেত্রে কম আবার কারো ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লেগে যায়। সাম্প্রতিক সময়ের আমাদের একজন প্যাসেন্টের ক্ষেত্রে মাত্র তিন মাসেই তার থাইরয়েড লেভেল ১২ থেকে একদম স্বাভাবিক হয়ে গেছে এবং এখন তাকে আর কোনো ওষুধ কনটিনিয়াসলি খেতে হচ্ছে না।

 

হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য এক্সপার্ট ডাক্তারের তত্বাবধানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে পার্মেনেন্টলি ভালো হয়ে যাবেন, ইনশাআল্লাহ।